হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার কারণে সাময়িকভাবে বিমান ওঠানামা স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে পূর্বনির্ধারিত শিডিউলের বিদেশগামী যাত্রীরা বিমানবন্দরের মূল ফটক ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন, তারা ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনরাও টার্মিনালে উপস্থিত হয়েছেন, প্রিয়জনদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় রয়েছেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনের কারণেই গাড়িগুলো টার্মিনাল ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে যাত্রী ও স্বজনদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের মূল প্রবেশপথের সামনেই মানুষজনের ভিড় জমেছে।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাহজালালে আসা যাত্রীদের স্বজনরাও অপেক্ষা করছেন বিমানবন্দরের গেটের বাইরে। তাদের অনেকেই ঢাকায় পৌঁছে প্রিয়জনদের নিরাপদে দেখতে চাইছেন। কেউ কেউ উৎকণ্ঠার মধ্যেও বিমানবন্দরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে অবস্থান করছেন।

রুবেল আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, রাতের ফ্লাইট ছিল দুবাইয়ের, কিন্তু এখন বাইরে বসে আছি। কখন ভেতরে ঢুকতে পারব জানি না। এমন অবস্থায় অনেক কষ্ট হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের জরুরি কাজে যেতে হবে তাদের জন্য খুব ঝামেলা।

সামিয়া হোসেন নামের আরেক বিদেশগামী যাত্রীর স্বজন বলেন, আমার ভাইয়ের ফ্লাইট ছিল মালয়েশিয়া যাওয়ার, এখন গেটেই আটকে আছি। ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিড়ম্বনার কথা জানিয়ে শারমিন আক্তার নামের ফিরতি যাত্রীর আত্মীয় বলেন, আমার আত্মীয় ভারত থেকে ফিরছেন, কিন্তু এখানে নামতে পারেননি। আমরা গেটের সামনে বিকেল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। 

অন্যদিকে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। এখন আপাতত ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। 

তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকাগামী কয়েকটি ফ্লাইট বিকল্প রুটে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, এরইমধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে একাধিক ফ্লাইট অবতরণ করেছে। এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ট্যাক্সিওয়েতে আটকে আছে। 

আরএইচটি/জেডএস