বিএনপি নেতা এ্যানি
৫ শতাংশ বাড়িভাড়া যথেষ্ট নয়, বিশেষ বিবেচনা করতে হবে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। সরকারের বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিষয়ে এ্যানি বলেন, আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব ৫ শতাংশ এনাফ (যথেষ্ট) নয়। শিক্ষকদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করতে হবে।
এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতকে জাতীয়করণ করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানান এ্যানি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি সংহতি জানান।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যেভাবে গত নয়দিন ধরে আপনারা প্রখর রোদে রাজপথে অবস্থান করছেন, এটা করার কথা ছিল না। শিক্ষকরা বারবার রাস্তায় আসেন, আন্দোলন করেন, আবেদন করেন—এই অবস্থা যেন আর না হয়, সেই লক্ষ্যেই আমরা পূর্ণ জাতীয়করণের কথা বলেছি।
শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ১২ তারিখ থেকে আন্দোলন করছেন। এমন কষ্ট কেউ চায় না। আগামী দিনে যেন শিক্ষকদের আর রাস্তায় নামতে না হয়, বিএনপি সে লক্ষ্যে কাজ করবে।
এ্যানি আরও বলেন, আপনাদের যে দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার তার কিছুটা মেনে নিয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জায়গায় এখনো পৌঁছায়নি। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও অন্যান্য দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষকেরা জাতির আলোকবর্তিকা। তারা জাতিকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও মর্যাদা দেওয়া বিএনপির অঙ্গীকার। আগামী দিনে শিক্ষকদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
সরকারের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। শিক্ষকদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিতে হবে। আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে আছি, থাকব। বিএনপি বিশ্বাস করে, জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি শিক্ষা। আর শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত না করে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ-প্রত্যাশী জোটের ডাকে শিক্ষক-কর্মচারীরা সোমবার নবম দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেন। জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কোনো বিশৃঙ্খলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরব না।
আরএইচটি/এমএইচএন/জেডএস