১০১৩ কোটি টাকা পাচার : আসামি মোতালেব হোসেন গ্রেফতার
১০১৩ কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় দায়ের করা ১৬টি মানিলন্ডারিং মামলার প্রধান আসামি মোতালেব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
রোববার (২০ জুন) দুপুরে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসি এবং অ্যাগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি উভয় প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মােতালেব ১৬টি মামলার আসামি এবং তার পাচার করা অর্থের পরিমাণ ১০১৩ কোটি টাকা। অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মেশিনারিজ ঘােষণায় অবৈধ মদ, সিগারেট ও টেলিভিশন আমদানির মাধ্যমেই ওই অর্থ পাচার করা হয়। অনেক চেষ্টার পর আজ তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে আমদানি করা পণ্যচালানের বিপরীতে দায়ের করা অবশিষ্ট ১৫টি মামলার বিষয়ে তার কাছে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১২টি কন্টেইনারে পেস্ট্রি ফিডে ক্যাপিটাল মেশিনারিজের পরিবর্তে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এমন খবরে ২০১৭ সালের মার্চে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কন্টেইনারগুলাে আটক করে মেশিনারিজের পরিবর্তে বিপুল পরিমাণ সিগারেট, এলইডি টেলিভিশন ও ফটোকপিয়ার মেশিন ও মদ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এসসি এবং এমো বিজি অ্যান্ড জেপি নামীয় প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি টাকা পাচারে প্রথমে একটি মামলা হয়। পরে অনুসন্ধানে এ ধরনের আরো কয়েকটি ঘটনায় ৮৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের তথ্যে ওই বছর পল্টন থানায় মোতালেবের বিরুদ্ধে পৃথক আরো মােট ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ৮ জুন ৫২৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা ১৪ মামলার আসামি সুরুজ মিয়া ওরফে মাে. বিল্লাল হােসেন খানকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে সংস্থাটির একটি টিম গ্রেফতার করে। অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেশিনারিজ ঘােষণায় অবৈধ মদ, সিগারেট ও টেলিভিশন আমদানির প্রধান ছিলেন সুরুজ মিয়া।
আরএম/জেডএস