অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন কার্গো ভবন চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। 

চেয়ারম্যান বলেন, নতুন যে অত্যাধুনিক ইমপোর্ট কার্গো ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি এখনো চালু হয়নি অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে। এই ভবন চালু হলে আগুন লাগলে আমরা বাসা থেকেও মনিটর করতে পারতাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক গ্যাপ রয়ে গেছে—হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা সেই গ্যাপ পূরণে দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।

চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে একটি যৌথ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকারি টাকা ও ঠিকাদারি দাবি–দাওয়ার মধ্যে পার্থক্য মিটলেই নতুন কার্গো ভবনটি হস্তান্তর ও চালু করা হবে।

আগুন লাগার সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুনের কাছাকাছি যেতে পারেনি এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, আগুনের স্থানে ফায়ার গাড়ি পৌঁছাতে পারেনি কারণ বিপুল পরিমাণ মালামাল সেখানে জমে ছিল। এই মালপত্র ক্লিয়ার করার দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কাস্টমস ও সিএনএফ এজেন্টদের। নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে এসব মালামাল ক্লিয়ার হওয়ার কথা, কিন্তু অনেক সময় মাসের পর মাস পড়ে থাকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দোষারোপ করতে চাই না, তবে বিষয়টি তদন্তের আওতায় এসেছে।

তিনি বলেন, যেখানে আগুন লেগেছিল, সেটি মূলত ইমপোর্ট কার্গো এলাকা। এই জায়গাটি পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কাস্টমস, সিএনএফ এজেন্ট ও কুরিয়ার এজেন্টরা। বাইরের লোকজন প্রবেশের জন্য আট নম্বর গেটে এক্সেস কন্ট্রোল রয়েছে, যার দায়িত্ব বেবিচকের। তবে ভেতরের কার্গো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর।

আরএইচটি/জেডএস