আড়াই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন শিক্ষকরা, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল
জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা আড়াই ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর পৌনে তিনটার পর আগামীকাল (২৩ অক্টোবর) বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ তুলে নেন তারা। পরে পল্টন থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যানচলাচল শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দুপর ১২টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। রাখা হয়েছিল জলকামান ও রায়ট কার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
পরে পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে। প্রতিনিধি দলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান ও সদস্য সচিব মাওলানা মো. আল আমিনসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অন্তত সৌজন্যমূলক আচরণ পাব। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা না করে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, যা গোটা শিক্ষক সমাজের প্রতি অবমাননা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
অন্যদিকে, শিক্ষকরা দাবি জানিয়েছেন- চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।
শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— অনুদানবিহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, সরকার প্রতিশ্রুত জাতীয়করণ বাস্তবায়ন না করা হলে তারা ঢাকা ছাড়বেন না। প্রেসক্লাবের সামনেই অব্যাহতভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
আরএইচটি/এমএইচএন/বিআরইউ