পুরাতন ছবি/ সংগৃহীত

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। এ সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০ জন। আজ সোমবার চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার প্রায় ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। 

সোমবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামের ১০টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ৯৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ১২৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৬২ জন রয়েছেন।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে বাঁশখালীর ৩ জন, লোহাগড়ার ১ জন, আনোয়ারার ১, চন্দনাইশের ১ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১ জন, রাউজানের ৪ জন, ফটিকছড়ি ২১ জন, হাটহাজারীর ১৫ জন, সীতাকুণ্ডের ৯ জন, সন্দ্বীপের ১ জন ও  মিরসরাইয়ের ১০ জন রয়েছেন।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার  ৯৮১ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৪ হাজার ২২৮ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১ হাজার ৯৪৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জন নগরের বাসিন্দা। বাকি ২ জন নগরীর বাইরের। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৬৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৬২ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ১৯৯ জন।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সোমবারের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। রোববার (২০ জুন) করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৩০ জনের। ১৯ জুন শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১৬ জনের। ১৮ জুন বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিল ১৫ জনের।

গতকাল রোববার (২০ জুন) চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩৬  জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন একজন। করোনা আক্রান্তের হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ। শনিবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫৭ জন, মারা গিয়েছিলেন ২ জন। করোনা আক্রান্তের হার ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ২। শুক্রবার  (১৯ জুন) চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৪ জন, আর আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২২ জন। আক্রান্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ( ১৮ জুন) চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬৯ জন, আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। শনাক্তের হার ছিল ১৪.৪৪ শতাংশ। 

কেএম/এইচকে