অপহরণের মামলায় বেরিয়ে এলো খুনের রহস্য, বাবাকে হত্যায় ছেলের স্বীকারোক্তি
অপহরণের অভিযোগে আদালতে দায়ের হওয়া একটি নালিশি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উদ্ঘাটন করেছে চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজের বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন ছেলেরা।
এ ঘটনায় পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো শনিবার (১ নভেম্বর) বাঁশখালীর চাম্বল এলাকা থেকে আনোয়ার নামের এক ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রোববার (২ নভেম্বর) তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
বিজ্ঞাপন
পিবিআই জানায়, ২০২৪ সালের ৭ জুন চট্টগ্রামের মীর মজিবুর রহমান খান (৭০) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে দুই সৎ ভাই, ফুফু ও দুই চাচাকে বিবাদী করে অপহরণের অভিযোগে চট্টগ্রাম আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন। কিন্তু মামলা তদন্ত নেমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় পিবিআই। এ কারণে অভিযোগটি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর আবেদন করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। আদালত মামলাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রেকর্ডের নির্দেশ দেন৷ পরবর্তীতে মামলার তদন্ত অব্যাহত রাখে পিবিআই।
তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এক নারীকে ব্যবহার করে ফোনে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পিবিআই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভুক্তভোগীর আরেক ছেলে জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম শহরের কোনো একটি বাসায় হত্যা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মরদেহ উদ্ধারের জন্য আমরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন থানায় মরদেহ উদ্ধারের তথ্য সংগ্রহ করছি। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর আরেক ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে পারলে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আনোয়ার আদালতে স্বীকার করেছেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি তার বাবাকে বাসায় এনে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করেন। পরে গামছা দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। আনোয়ারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এমআর/এমএন