৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিক সময় নির্ধারণের দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন পরীক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোতে লিখিত পরীক্ষার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এবার হাতে মিলেছে মাত্র ৪০ দিন। আগামী ২৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক। সময় বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েও পিএসসি পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রুটিন প্রকাশ করেছে। আমরা পিএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলা পর্যন্ত আগারগাঁও এলাকা ত্যাগ করব না।

এদিকে, নিরাপত্তার জন্য পিএসসির সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তারা বারবার বলছেন, আপনারা আন্দোলন করেন ঠিক আছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।

এর আগে একই দাবিতে পরীক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। গত বুধবার পিএসসির সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিক সময় নির্ধারণের দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের দাবি, ৬০ দিনের মধ্যে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার বৃহৎ সিলেবাস শেষ করে অংশ নেওয়া কার্যত অসম্ভব। একদিকে অভিজ্ঞ পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন, যারা পূর্বে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে নতুন প্রার্থীরা রয়েছেন যারা প্রথমবার প্রিলিমিনারি পেরিয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসবেন। এই অল্প সময়ে অভিজ্ঞদের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হলেও নতুনদের পক্ষে তা অসম্ভব। ফলে পিএসসির এই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তকে তারা নতুন বৈষম্য ও হঠকারিতা বলছেন।

এর আগে পরীক্ষার্থীরা পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোবাশ্বের মোনেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরীক্ষা পেছানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্মারকলিপি দেন।

এমএইচএন/এসএসএইচ