সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে উন্নীত করে ১০ম গ্রেড করার প্রস্তাব জাতীয় পে কমিশন ২০২৫-এর বিবেচনায় রয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতারা অংশ নেন।

অর্থ সচিব জানান, সহকারী শিক্ষকদের বেতন–গ্রেড উন্নীত করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অর্থ বিভাগ জাতীয় পে কমিশন ২০২৫-এ পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে পে কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়া গেলে অর্থ বিভাগ তা পর্যালোচনা করবে।

আর সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

অন্যদিকে বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, সেখানে শিক্ষকদের তিন দফা দাবি—বেতন–গ্রেড উন্নীতকরণ, চাকরির মেয়াদে উচ্চতর গ্রেড প্রদান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি—নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

আরএইচটি/জেডএস