সৌদি আবাসন প্রকল্পের নামে প্রতারণার অভিযোগ
সৌদি আরবভিত্তিক আবাসন প্রকল্পের কথা বলে কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিষ্ণুদি এলাকার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। তার অভিযোগ- ‘এসএফডি (সৌদি ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট)’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দেওয়া ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি ধাপে ধাপে তার কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করে এবং পরে সব ধরনের নথিপত্র মুছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিনি এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
বিজ্ঞাপন
মিজানুর রহমান জানান, তিনি এলাকায় ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর শো-রুম, শেখ গার্মেন্টসসহ বেশ কয়েকটি সফল ব্যবসা পরিচালনা করতেন। প্রায় এক বছর আগে ইসমাইলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ইসমাইল নিজেকে ‘এস এফ ডি’-এর সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দেন এবং প্রথম ধাপে তিন হাজার রিয়াল পাঠান। ওই অর্থ দিয়ে মিজানুর রহমান এলাকার দরিদ্র মানুষের মধ্যে নিয়মিতভাবে একাত্তর বস্তা চাল বিতরণ করেন এবং সাতটি মসজিদের ইমাম–মুয়াজ্জিনের বেতন প্রদান শুরু করেন।
পরে ইসমাইল তাকে অর্ধ–অর্থায়নে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন। এলাকাবাসীর আস্থায় মিজানুর প্রথমে ১০টি ঘরের জন্য ৩৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন। এরপর আরও ১০০টি ঘরের জন্য ধাপে ধাপে অগ্রিম টাকা পাঠানো হয় এবং সেগুলোর কাজও শেষ হয়। চাহিদা বাড়ায় তিনি মোট ১৫০টি ঘরের অর্থ সংগ্রহ করে ইসমাইলকে জানান।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অনুযায়ী, ইসমাইল মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাকে ‘এস এফ ডি’-এর সফটওয়্যার ইনস্টল করার কথা বলে বিভিন্ন চ্যাট, রসিদ ও ডকুমেন্ট মুছে দেয়। এরপর থেকে ইসমাইল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত জমিজমা, ব্যবসার মালামাল ও সম্পত্তি বিক্রি করে কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে শেষ পর্যন্ত তিনি পুরোপুরি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন।
সরকারের সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, মানুষের কাছে দেওয়া কথা রাখতে গিয়ে নিজের সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আর পারছি না, আমাকে বাঁচান।
/এমএইচএন/এমএসএ