চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কৃত্রিম পরিবেশে ইনকিউবেটরে ডিম থেকে ২৮টি বাচ্চা ফুটেছে। প্রায় ৬৭ দিন ধরে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে রাখা ডিম থেকে মঙ্গলবার (২২ জুন) এসব বাচ্চা ফুটেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ জুন) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার একটি অজগর ৩১টি ডিম দিয়েছিল। ডিমগুলো আমরা খাঁচা থেকে সংগ্রহ করি। এরপর হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রেখেছিলাম। তার মধ্যে ২৮টি ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে। আর তিনটি ডিম নষ্ট হয়েছে।
  
তিনি আরও বলেন, সাপের বাচ্চাগুলোকে চামড়া বদল না করা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ইনকিউবেটরে রেখেই। চামড়া বদল করার পর এগুলোকে খাবার দিতে হবে।

শুভ বলেন, চিড়িয়াখানায় অজগররা খাঁচায় ডিম পাড়ার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই একটি ইনকিউবেটর তৈরি করি। এরপর খাঁচা থেকে ডিম সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে এনে রাখা হয়। 

তিনি বলেন, বাচ্চাগুলো চামড়া বদল করার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করব। তিনি যদি নির্দেশনা দেন বন্য পরিবেশে ছাড়ার জন্য তখন বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেব।
 
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনে ভূমিকা রাখছে। আগের জেলা প্রশাসকদের মতো বর্তমান জেলা প্রশাসকও প্রাণী সংরক্ষণে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম আরও বাড়ানো জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শুভ।

২০১৯ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম থেকে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়। যা পরে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল বাংলাদেশে কোনো চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন এর আগে কেউ করেনি।

কেএম/জেডএস