বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে হেলথ টকস ও পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হসপিটাল। 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, সঠিক সময়ে শনাক্তকরণ, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোলজি বিভাগের অ্যাটেন্ডিং কনসালটেন্ট ডা. এমরান উর রশিদ চৌধুরী, একই বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শায়লা কবির এবং ডায়েটেটিকস অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের চিফ ডায়েটিশিয়ান আহাসফি মোহাম্মদ। 

এ সময় বক্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং অংশগ্রহণকারী রোগীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের বাড়তি হার যেমন উদ্বেগজনক, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো প্রাথমিক সচেতনতার ঘাটতি। 

তিনি বলেন, ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা আসে সঠিক শিক্ষা থেকে, আর এ ধরনের আয়োজন মানুষকে সেই শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে।

ডা. শায়লা কবির বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উন্নত চিকিৎসা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও আধুনিক থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে মানসিক ও শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা থেকে রক্ষা করতে পারে।

তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ, ঝুঁকি ও শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবার জানা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি দ্রুত শনাক্তকরণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ। রোগী সচেতন হলে এবং সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ একেবারেই কঠিন নয়।

অনুষ্ঠানে পুষ্টিবিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন আহাসফি মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা রোগীকে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করে তোলে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কী খাবেন বা কী খাবেন না- এসব বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।

এমআর/এমএসএ