গ্রেফতার হওয়া হ্যাকার মামুন

মামুন মিয়া (২০), সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার বাসিন্দা। প্রবাসী নারীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২২ জুন) তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। মাত্র এসএসসি পাস করা এই যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

স্থানীয় একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে আইটির ওপর কোর্স করে প্রতারণা শুরু করেন মামুন। অভিনব কায়দায় প্রতারণার পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীদের বলতেন, তার প্রতারণার কৌশল কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। কেউ ধরতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জও দিতেন। ধরতে পারলে ১ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দেন মামুন।

এর আগেও ফেসবুক হ্যাকের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় মামুনের বিরুদ্ধে। এবার প্রবাসী নারীদের ফেসবুক আইডি হ্যাকের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন মামুন। তিনি বহু নারীর আইডি হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করলেও মামুন ব্যবহার করতেন দামি মোটরসাইকেল এবং আইফোন ম্যাক্স মডেলের মোবাইল ফোন। তাকে গ্রেফতারের সময় এগুলো জব্দ করা হয়েছে।

আইডি হ্যাক করার পর ভিকটিম নারীদের ছবি ব্যবহার করে ব্লাকমেইল করত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সে এখন দুই দিনের রিমান্ডে আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মোবাইলের ফরেনসিক টেস্ট করতে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে।

এমএসি/এমএইচএস