বাংলাদেশ ও ভুটান আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম–গেলেফু করিডোর উন্নয়নে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে এই করিডোরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে ঢাকা ও থিম্পু।

রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তবগে এই করিডোরের সম্ভাবনা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুড়িগ্রাম–গেলেফু করিডোর আঞ্চলিক বাণিজ্য, পরিবহন ও বিনিয়োগ প্রবাহকে আরও গতিশীল করবে। বাংলাদেশ–ভুটান অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে এই করিডোর উভয় দেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জিটুজি অংশীদারত্বে নির্মাণাধীন কুড়িগ্রাম স্পেশাল ইকোনমিক জোন ভুটানের আসন্ন ‘গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে সীমান্ত–পারাপারের নতুন অর্থনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি করবে। এতে যৌথ শিল্প–বাণিজ্য উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তার আশা।

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী কুড়িগ্রাম ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম ও গেলেফু আমাদের যৌথ অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের পরিপূরক ইঞ্জিন হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের বাজার ও দক্ষ মানবসম্পদ, আর ভুটানের টেকসই উন্নয়নমুখী দৃষ্টি— এই সমন্বয় দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন মডেল তৈরি করবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের আর্থিক, শিল্প ও সেবা খাতে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এসব সম্ভাবনা যাচাইয়ে শিগগিরই ভুটানের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে বিডার সাম্প্রতিক সংস্কার উদ্যোগ, কর কাঠামো উন্নয়ন, মূলধন প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার গতিশীলতা, বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং ব্যবসাবান্ধব নীতিগত সহায়তার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। দুই পক্ষ ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদারের গুরুত্ব দেন।

বৈঠকে ভুটানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্তসেল এবং দেশটির বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের পক্ষে বিডা, বেজা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এসআই/এমজে