মোঃ শাহীন বেপারি

রাজধানীর কদমতলী থানার জুরাইন এলাকায় মাদককারবারিদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ মোঃ শাহীন বেপারী(২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা ২২মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নিহত শাহীন শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ কেবরনগর গ্রামের সিরাজ ব্যাপারীর ছেলে ছিল।বর্তমানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতো।

এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদ্দাম কদমতলী থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ জানান, “আমার ছোট ভাই একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করে। গত ২২ নভেম্বর আমার ভাইকে মাদক কারবারিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মাথায় গুলি করে। গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় চান মিয়া প্রকাশ চানু(৩৯) ও মো জহিরকে(৩৭) স্থানীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল একটি ম্যাগাজিন ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় এরপর ওসেকে ভর্তি রাখা হয়।”

মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, বাবু(৪১), ইব্রাহিম(৪০), রুবেল ওরফে প্লে রুবেল(৩৮),মাসুদ(৩৫), বাবু ওরফে নাক কাটা বাবু(২৭), শান্ত (৪০),হিরা(৪০),স্বপন (৩৫), শাওন ওরফে চাপাতি শাওন(৩৫), আলামিন (২৫), মনির ওরফে গুটি মনির(৩৮),হাসান(৩৭)ও শাহিন(৩২)।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক জানান, কদমতলীতে গুলিবিদ্ধ এক যুবক ঢাকা মেডিকেলের ওসাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়। গত ২২ নভেম্বর কদমতলী থানার জুরাইনে এলাকায় মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে ওসেকে ভর্তি করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ শাহীন নামে ওই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি কদমতলী থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

এসএএ/এসএমডব্লিউ