বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এমনটাই প্রত্যাশা করে জার্মানি।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটৎস এমন প্রত্যাশার কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সেইসঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ৬০ শতাংশ ভোট পড়বে, এটা আমরাও প্রত্যাশা করি। ভোটের ক্যাম্পেইন করার সময় যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কম হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুডিগার লোটৎস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভোটার উপস্থিতি বিভিন্ন ধরনের হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে। এটা হলে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে না। যত বেশি ভোটার উপস্থিতি হয় ততই ভালো। যদি ভালো ভোটার উপস্থিতির কথা বলি, তাহলে সেটা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হলেই হয়।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের পরও সংস্কার প্রক্রিয়া চলার পক্ষে মত দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ- নিরাপত্তা, আইনের শাসন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আরও অধিক রাজনৈতিক স্বচ্ছতা আসবে, দুর্নীতি কমবে। আরও দক্ষ সরকার ও সুশাসন আসবে। এগুলো হলে সহায়ক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে এবং এটা যেন নির্বাচনের পরও চলতে থাকে। আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলি, তখন সংস্কারের গুরুত্ব তাদের বলেছি।
রুডিগার লোটৎস বলেন, জুলাই চার্টার হলো একটা স্পষ্ট অঙ্গীকার। এখানে স্পষ্টভাবে সবকিছু উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্বে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
এনআই/এসএসএইচ