রাজধানীর শাহাজাহানপুর থানার গুলবাগ এলাকায় বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২২) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তাকে তার বান্ধবী উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি  বিভাগে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের বান্ধবী মারিয়াম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ও নদী দুজনে বনশ্রী অ্যানজার বোরকা হাউজে চাকরি করি। বিকেল ৩টায় সে আমাকে মোবাইলে ভিডিও কল দেয়। দিয়ে বলে, আত্মহত্যা করব। সে হতাশায় ভুগত। একা একা নিজের হাত কাটত। পরে দেখি সে সত্যি সত্যি ভিডিও কলে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিছে। আমি সাথে সাথে তার ভাইকে কল দেই। দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে গিয়ে  দেখি ফ্যানের সাথে সে ঝুলছে।  আমি ও বাসার ভাড়াটিয়া শারমিন তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আনি। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, সাইম আহমেদ নামে একটি ছেলেকে গোপনে বিয়ে করেছিল নদী। এটা জানার পর তার ভাই তাকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নদী বাবা-মাকে সহ্য করতে পারত না। তবে এখন কারও সাথে আমার জানা মতে সম্পর্ক নেই।

নিহতের খালাত বোন শরীফা সুলতানা জানান, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। নদী অনেক ভালো পরিবারের সন্তান। গেণ্ডারিয়ার সাইম আহমেদ নামে একটি ছেলেকে গোপনে বিয়ে করে। সেটা জানার পর তার ভাই তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে ডিভোর্স হয়ে যায়। অনেকদিন পর সে আবার ঢাকায় এসে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি বোরকা হাউজে চাকরি করে।

শরীফা আরও জানান, তার বাবা রফিকুল ইসলাম বরিশালের আগৈলঝরা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে নদী শাহজাহানপুর থানার গুলবাগ এলাকার ৩৯১ নম্বর বাসার ৫ তলায় ভাড়া থাকত। তার বাড়ি বরিশাল জেলার বেতাগী এলাকায়। এক ভাই ও বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, শাহজাহানপুর থেকে অচেতন অবস্থায় এক কিশোরীকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সবুজবাগ থানায় জানিয়েছি।

মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মনতোষ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পরে ঢাকা মেডিকেলে আসি। ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

এসএএ/এইচকে