সাতরাস্তা-মহাখালী ফুটপাতে মাটির স্তূপ, দ্রুত চলাচল উপযোগী করার দাবি
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সাতরাস্তা মোড় থেকে মহাখালী পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অপরিকল্পিতভাবে রাস্তার মাটি কেটে ফুটপাতে স্তূপ করে রেখেছে। এ কারণে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত কাজ শেষ করে ফুটপাতটি চলাচল উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাশে টাইলস করা দৃষ্টিনন্দন যে ফুটপাত ছিল, সেখানে ড্রেন পুনরায় খনন করার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অংশে অনেক বৃক্ষরোপণ করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছিল। গত কিছুদিন ধরে সেখানে ড্রেন তৈরি করতে এসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো অপরিকল্পিতভাবে রাস্তার মাটি কেটে ফুটপাতে স্তূপ করে রেখেছে। এর ফলে পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে বাধ্য হচ্ছেন মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে, যা তীব্র যানজট তৈরি করছে।
বিজ্ঞাপন
এ সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ত হওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফুটপাত ব্যবহারকারীরা।
পথচারীরা বলছেন, মাত্র কিছুদিন আগে টাইলস করা দৃষ্টিনন্দন এই ফুটপাতটি তৈরি করা হয়েছে, যা এখনো খুব ভালো অবস্থায় ছিল। এ এলাকায় দেশের প্রথম সারির অনেকগুলো শিল্পকারখানার অফিস থাকায় এই রাস্তা ও ফুটপাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া, শীতকালে এ ধরনের কাজের অব্যবস্থাপনা থেকে বায়ুদূষণ বাড়ছে এবং কারখানার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এ এলাকায় একটি শিল্পকারখানায় কাজ করেন হেদায়েতুল্লাহ। তিনি বলেন, দারুণ, খুবই দৃষ্টিনন্দন একটি ফুটপাত এটি। কিন্তু এর সৌন্দর্য ও চলাচলের উপযোগিতা নষ্ট করে দিয়েছে এখানে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তার মাটি কেটে এখানে স্তূপ করে রাখায় চলাচলের উপযোগিতা নষ্ট হয়েছে।
এ এলাকার বাসিন্দা হাসিবুর রহমান বলেন, আমরা এলাকাবাসী হিসেবে দাবি জানাচ্ছি— এই ফুটপাত থেকে দ্রুত এসব মাটি ও নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক। বর্তমানে ফুটপাতের বেহাল দশার কারণে পথচারীরা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না।
সিএনজি চালক আব্দুর রশিদও একই ধরনের অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই ফুটপাতে জায়গায় জায়গায় মাটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে করে পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার না করে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যেহেতু এটি একটি ব্যস্ত রাস্তা, তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা যারা গাড়ি চালক আছি, তারাও চলাচলে বাধা পাচ্ছি, ধীরগতিতে যেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হুটহাট মানুষ রাস্তায় নেমে হাঁটায় আমাদের দ্রুত ব্রেক করতে হয়। এতে ঝুঁকি বাড়ছে আমাদেরও। ফুটপাতটি থেকে এসব সরিয়ে দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক।
অপরদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলছেন, এলাকার জলবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কাজ করা হচ্ছে, যার সুফল এলাকাবাসীই পাবে। বড় কাজ হওয়ায় এটি শেষ হতে একটু বেশি সময় লাগছে। খুব দ্রুত কাজ শেষ করার সব প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এই কাজের জন্য পথচারী ও এলাকাবাসীর সাময়িক সমস্যার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
এএসএস/এমজে