প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্থবির, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণহীন

দেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে দুটি প্রতিবেদন সামনে এল। প্রথমটি ছিল সারা দেশের জনসংখ্যা নিয়ে ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ। দ্বিতীয়টি ছিল ঢাকা শহরের জনসংখ্যা নিয়ে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) তথ্য।

বণিক বার্তা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ বাড়ছে

বিগত সরকারের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি এবং দলীয়করণের অভিযোগ ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে এখনো অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অমান্য করে নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে।

আজকের পত্রিকা

ভারতে পলাতক আ.লীগ নেতৃত্ব: কামালকে দিয়ে প্রত্যর্পণ শুরুর আশা বাংলাদেশের

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অভিযুক্ত অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারত থেকে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুরুতেই দেশটি আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রত্যর্পণ করবে বলে আশা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

যুগান্তর

নির্বাচনে আট ঝুঁকি, দশ পরামর্শ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আটটি ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ দেখছেন গোয়েন্দারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আন্তঃ ও অন্তর্কোন্দল, উদ্ধার না হওয়া পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র, চরমপন্থি গ্রুপ ও পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র গোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ইস্যু ও ধর্মীয় অপপ্রচার, জামিনপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, আসনভিত্তিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং এআই ব্যবহার করে গুজব ও অপপ্রচার। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে। প্রতিবেদনের একটি কপি যুগান্তরের কাছে এসেছে।

আজকের পত্রিকা

ঝুঁকিপূর্ণ ১০ হাজার কারখানা

ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে গার্মেন্টসপল্লি খ্যাত ঢাকার কেরানীগঞ্জ। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে ওঠা এ পল্লিতে ছোট-বড় ১০ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। পাশাপাশি আগানগর, জিনজিরা, শুভাঢ্যা, কালিন্দী, কোন্ডা, শাক্তা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় বসবাস করছেন আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ। সব মিলিয়ে কেরানীগঞ্জের এই শিল্পঘন এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছেন।

কালের কণ্ঠ

চিকিৎসা বিলম্বে অর্থ ও জীবন ক্ষয়

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের রাহেলা খাতুন (৫২) গত বছর সেপ্টেম্বরে জানতে পারেন তাঁর মুখগহ্বরে ক্যান্সার। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। তবে শরীরের অন্যান্য সমস্যা ও ক্যান্সারের পর্যায় নিশ্চিত করতে সময় লাগে প্রায় ছয় মাস।

যুগান্তর

এফডিআই হিসাবে কমছে মূলধন বিনিয়োগ

বিদেশ থেকে নগদ অর্থ বা পুঁজি হিসাবে দেশে আসা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই তিন বছর ধরে কমছে। গত অর্থবছরেও আগের বছরের তুলনায় নগদ এফডিআই কমেছে। যদিও আলোচ্য সময়ে এফডিআইয়ের তিনটি উপকরণ মিলে বেড়েছে। দেশে বিদেশি কোম্পানিগুলোর অর্জিত মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ করা, বিদেশি এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানি ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা এবং পুঁজি হিসাবে বিদেশ থেকে আনা অর্থ-এই তিনটি মিলে বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে এই তিন উপকরণের মধ্যে অর্জিত মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ এবং বিদেশি এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানি ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা অর্থ দেশীয় উৎস থেকেই আসছে। ফলে এ অর্থ বিদেশ থেকে আসা নয়। এসব অর্থ বিদেশে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এগুলো বিনিয়োগ করলে এফডিআই হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তবে কেবল মূলধন হিসাবে বিদেশ থেকে আসা অর্থই বিদেশি মূল বিনিয়োগ হিসাবে চিহ্নিত। এ ধরনের বিনিয়োগই তিন বছর ধরে কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিদেশি বিনিয়োগের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

কালের কণ্ঠ

এবার নির্বাচনে ফ্যাক্টর নারী ও হিন্দু ভোটার

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রার্থীরা গণসংযোগ করছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

প্রথম আলো

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন দ্রুতই

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দ্রুতই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। দলীয় সূত্রগুলো থেকে এ আভাস পাওয়া গেছে। তবে ঠিক কখন তিনি ফিরবেন, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গুরুতর অসুস্থতার খবরে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

কালের কণ্ঠ

নৌপথে নিয়ন্ত্রণহীন চাঁদাবাজি

দেশজুড়ে নৌপথেও চলছে লাগামহীন চাঁদাবাজি। সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র এই চাঁদাবাজিতে সক্রিয়। মেঘনা থেকে পদ্মা, শীতলক্ষ্যা হয়ে বুড়িগঙ্গা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত এই চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা। নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান টার্গেট করে এরা  চাঁদাবাজি করছে।

বণিক বার্তা

অর্থনীতির বড় চাপ ভুল জ্বালানি ও বিদ্যুৎনীতি

বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু প্রাইমারি এনার্জি ব্যবহার ৩ হাজার ৪৮ কিলোওয়াট-ঘণ্টা (২০২৪)। আর বিদ্যুতের ব্যবহার বছরে মাথাপিছু ৬৬১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা (২০২৪-২৫ অর্থবছর)। উন্নত দেশের বিবেচনায় তো বটেই সমআকারের অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায়ও বাংলাদেশীদের এ জ্বালানি-বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ বেশ কম। কিন্তু এর সংস্থান করতেই সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশ চলে যাচ্ছে। জ্বালানির আমদানি ব্যয় মেটাতে ভোক্তার ওপর দামের চাপ বাড়ানো হচ্ছে। আমদানিনির্ভর নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার আর্থিক সক্ষমতা নাজুক। অন্যদিকে চাহিদা না থাকলে গত ১৫ বছরে ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। বাড়তি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ মেটাতে অর্থের সংকুলান করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এ অর্থের জন্য তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারের ওপর। এ ধরনের আমদানিনির্ভর ও ভুল নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয় ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। এতে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করে ভোগান্তিতে পড়ছেন, নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ভোক্তাকে ক্রমাগতভাবে মূল্যবৃদ্ধির চাপে পড়তে হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার জ্বালানি খাতে যে বকেয়ার চাপ রেখে গিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও সেই বকেয়ার চাপ থেকে বের হতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ভুল নীতি দেশের অর্থনীতির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সমকাল

বিলবোর্ডে নির্বাচনী প্রচার, বৈষম্যের নতুন বিজ্ঞাপন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। পোস্টারের পরিবর্তে বিলবোর্ড বসিয়ে প্রচার চালাতে পারবেন। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড স্থাপন করতে পারবেন। সম্প্রতি জারি করা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালায় এমনটিই বলা হয়েছে।

বণিক বার্তা

মুম্বাইয়ের ধারাভির মতো কড়াইল বস্তিও কি ‘‌এলিট’ প্রকল্পে আক্রান্ত হবে

মুম্বাই বিমানবন্দরের পাশে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি ধারাভির অবস্থান। ১৯৮০ সাল থেকেই এ বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও সফল হয়নি মহারাষ্ট্র সরকার। সবশেষ ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি ধারাভি পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেন। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়ন হচ্ছে ধারাভি রিডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড (ডিআরপিপিএল)। তবে এ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি রয়েছে ধারাভির বেশির ভাগ বাসিন্দার।

দেশ রূপান্তর

গ্রামে আ.লীগ সক্রিয় টেলিগ্রামে

অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে মাঠের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ দলটি। কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশের নামে মামলা, বেশিরভাগ এলাকা ছাড়া হওয়ায় তাদের কার্যক্রম এখন অনলাইনকেন্দ্রিক। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ করে আলোচনা-সমালোচনাও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা রাখতে গ্রুপগুলোতে শেখ হাসিনার রায়সহ সমাজের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক, ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়।

কালবেলা

দেড় বছরে মোবাইল ডাটার দাম ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি

দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে। যেখানে সরকার ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, সেখানে মোবাইল অপারেটররা উল্টোপথে হাঁটছে। গত ১৮ মাসে তারা মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি প্যাকেজগুলোর ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোন সবচেয়ে বেশি দাম বাড়িয়েছে।

দেশ রূপান্তর

বাধ্য করে সাধ্য নাই

বিশ্ববিখ্যাত মোবাইল ব্র্যান্ড নোকিয়া এক সময় দুনিয়া কাঁপিয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোন যুগ এলে তারা পুরনো সফটওয়্যার ধরে রেখে বলেছিল আমাদের সিস্টেমই সঠিক। বাজার কিন্তু মানেনি। ব্যবহারকারীরা তাদের ছেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নোকিয়া পুরো সিস্টেম পাল্টাতে বাধ্য হয়।