জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কাজ আগারগাঁওয়ে থাকবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুধু তদারকি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে এলে অধিদফতর করা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডির মূল কাজ ওইদিকেই (আগারগাঁও) থাকবে। এখান থেকে মনিটরিং হবে।’ 

তিনি বলেন, এনআইডি নিয়ে অনেকে অনেক বিতর্ক করছে। এটা হলো এমন এক জিনিস.. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেও এনআইডি লাগে, মোবাইলের সিম কিনতে বা তুলতে এনআইডি লাগে, শনাক্ত করতে এনআইডি লাগে। 

এ কার্যক্রম কবে নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো অন্য প্রসঙ্গ। এনআইডি ইস্যুতে মাত্র সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা লম্বা সময় লাগবে। আমাদের মন্ত্রণালয় একটা ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ শুরু করবে। 

এর আগে গত ১৭ মে এনআইডি সেবা কার্যক্রম ইসির পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের বরাবর গত ২৪ মে চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

এসব চিঠি চালাচালির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসির সঙ্গে দুই দফা সাক্ষাৎ করেন। তাদের যুক্তি, এনআইডি কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটদান জটিলতা সৃষ্টি হবে। ভোটার সার্ভার নিয়ে তৈরি হবে সংকট। এছাড়া রাষ্ট্রের অর্থের বিরাট অপচয় হবে।

ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে নির্বাচন কমিশন একটি তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্থাটি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে এনআইডি অনুবিভাগ তৈরি করে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড প্রকল্পও হাতে নেয়। এ জন্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করে বর্তমানে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে দেশের সব নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ করে আসছে ইসি। সংস্থাটির তথ্য ভাণ্ডারে প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।

এ তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে ব্যাংক-বিমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল অপারেটর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ১৪০ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে পরিচিতি যাচাই করে দিচ্ছে ইসি। আর এ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে নির্বাচন কমিশন।

এসএইচআর/এসএম/জেএস