হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো– আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাপ্রবণ পরিস্থিতিতে সার্বিক অগ্নি নিরাপত্তা, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা, অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর পারস্পরিক সমন্বয় এবং প্রতিক্রিয়া সময় মূল্যায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ সম্পন্ন হয়।

বেবিচক থেকে জানানো হয়, এই মহড়াটি বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। মহড়ায় বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থা : এয়ার পোর্ট ফায়ার সার্ভিস (ফায়ার ভেহিকেল ও অ্যাম্বুলেন্স), এভসেক, বেবিচক ফ্লাইট সেফটি (এজিএ ডিপার্টমেন্ট), এপিবিএন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, এয়ারপোর্ট থানা, ডিরেক্টর ফায়ার, এয়ারপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স সহ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো অংশগ্রহণ করে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ফায়ার ইউনিট (ফায়ার ভেহিকেল ও অ্যাম্বুলেন্স), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই ইউনিট (দিয়াবাড়ি ও উত্তরা), অ্যাম্বুলেন্স (জাহানারা ক্লিনিক, উত্তরা, ওমেনস মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল) এজেন্সিগুলো অংশগ্রহণ করে। 

মহড়াটি ছিল ড্রাই এক্সারসাইজ, যেখানে আগুন প্রজ্বলন না করে শুধু অগ্নিনির্বাপণ প্রতিক্রিয়া, সমন্বয়, যোগাযোগ এবং অপারেশনের গতিশীলতা যাচাই করা হয়। বিশেষভাবে বিমানবন্দরের জেনারেল এভিয়েশন এলাকাকে মহড়ার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং নিয়মিত ফ্লাইট অপারেশন স্বাভাবিকভাবেই রেখেই মহড়াটি সম্পন্ন করা হয়।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে আগুন সংক্রান্ত কল জানার পরে তাৎক্ষণিকভাবে ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার সক্রিয় করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জানানোর পর ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে অগ্নিনির্বাপক গাড়িগুলোর সর্বপ্রকার কার্যকারিতা নিরীক্ষা করা হয়। 

এআর/বিআরইউ