বৈষম্য ও বঞ্চিত সামরিক অফিসারদের সুবিচার প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির প্রদত্ত মিথ্যা ও প্রহসন মূলক রিপোর্ট প্রত্যাখ্যনের দাবি জানিয়েছে বঞ্চিত সেনা–নৌ–বিমান কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত সংগঠন জাস্টিস ফর কমরেডস।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রহসন ও মিথ্যা রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ : সামরিক অফিসারদের বৈষম্যের অবসান চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— কর্নেল শাহনূর (অব.), লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ (অব.), লে. কর্নেল হাসান (অব.), ক্যাপ্টেন বিল্লাল বিএন (অব.), লে. কর্নেল মোস্তাফিজ (অব.), কমান্ডার নেসার জুলিয়াস বিএন (অব.), ক্যাপ্টেন শামস (অব.), লে. কমান্ডার মেহেদি (অব.), মেজর শোয়েব আমান (অব.) প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার অসংখ্য সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ন্যায়বিচারের দাবিতে আবেদন করেন। ওই দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া কমিটির রিপোর্ট ‘মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রহসনমূলক’ বলে দাবি করেন প্রায় ৬০০ বঞ্চিত কর্মকর্তা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কমিটি অধিকাংশ আবেদনকারীকে ডাকা ছাড়াই রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। গণমাধ্যমে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কমিটি বাহিনী সদর দপ্তরের পুরোনো সুপারিশগুলোই হুবহু পুনরাবৃত্তি করেছে। ফলে ফ্যাসিস্ট আমলে সুবিধাভোগী কিছু কর্মকর্তা আবারও সুবিধা পাচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, বাহিনী সদর দপ্তরের সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। কমিটির চাকরিরত সদস্যরাও কার্যক্রমে অংশ নেননি। বাহিনী সদর দপ্তরের পছন্দনীয় ব্যক্তিদের সুপারিশই শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। এমনকি কিছু সুপারিশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কমিটিকে প্রভাবিত করেছেন।

সরকারকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজের নেতৃত্বাধীন কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট অবিলম্বে স্থগিত বা বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সব আবেদনকারী এবং এখনো আবেদন করতে না পারা প্রকৃত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে নতুন করে ন্যায়সঙ্গত সুপারিশ তৈরির করতে হবে।

ওএফএ/এমএন