করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।

শুক্রবার (২৫ জুন) তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার রাতে লকডাউনের বিষয়টি জানার পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে আগের মতো এবারও পুলিশের কাছ থেকে মুভমেন্ট পাস নিতে হবে কি-না?

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বের হতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনের জন্যে অনেককে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ওই সময় যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন তাদের অবশ্যই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। সড়কে চেকপোস্ট করে মুভমেন্ট পাস তল্লাশি করবে পুলিশ।

পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘লকডাউনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সেই প্রজ্ঞাপনে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকবে সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে বাংলাদেশ পুলিশ। আপাতত আগের মতোই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।’

এর আগে লকডাউনের বিষয়ে সুরথ কুমার সরকার বলেন, ‘লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের জন্য আমরা কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) দেব, প্রয়োজন হলে আমরা সেটি আরও বাড়াব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শনিবার প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আমাদের তথ্য অফিসার সেটি জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এটি যাতে কঠোরভাবে প্রতিপালন হয়, সেজন্য বেশ কড়াকড়ি থাকবে। পুলিশ এবং বিজিবি থাকবে। এক সপ্তাহের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থাকার সম্ভাবনা আছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না। তবে বাজেটের যে বিষয়টি আছে, এ সংক্রান্ত যে কার্যক্রমগুলো আছে, এনবিআর এবং ব্যাংক সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। তাছাড়া সবই বন্ধ থাকবে।’

এআর/ওএফ