চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়কের হামজারবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে ঢুকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মালিকদের চাঁদা দাবি অস্বীকার করায় প্রকাশ্যে এই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার (১৪ আগস্ট) ঘটনাটি ঘটেছিল। স্থানীয়দের দাবি, বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারীরা ঘটনায় জড়িত। 

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মো. মিজান ও জসিমের মালিকানাধীন ভবনে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ তিন যুবক সেখানে প্রবেশ করেন, দুজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটে যান। এরপর অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যস্ত সড়ক পার হয়ে পালিয়ে যায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি চালানোর ঘটনায় তারা ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, কিন্তু তখন সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।

পুলিশ জানায়, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এই হামলা। মিজান ও জসিমের কাছে বিদেশে থাকা সাজ্জাদ আলীর নামে প্রায় ৮০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। হামলার পর এলাকা ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা আরও জানান, একই এলাকার অন্য নির্মাণকারীরাও ভয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে, তবে তারা এখনও থানায় মামলা করেননি।

গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগকালে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরওয়ার হোসেন বাবলা নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন আহত হন। ওই ঘটনায় বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের নাম ওঠে আসে। নগরের এইট মার্ডারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি সাজ্জাদ আলী ও তার অনুসারীরা এখনো চাঁদাবাজিতে সক্রিয় এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।

এমআর/এমএসএ