শহীদ ওসমান হাদির দাফন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে কবরস্থান এলাকা থেকে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল থেকে কবরস্থান ও আশপাশে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হলেও দুপুর দেড়টার পর সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। সেইসাথে ব্যারিকেড বসিয়ে শাহবাগ থেকে টিএসসি চত্বর পর্যন্ত যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে কবরস্থান ও আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় পুরো এলাকা কার্যত নিয়ন্ত্রিত জোনে পরিণত হয়েছে।

আজ (শনিবার) সকাল থেকে টিএসসি থেকে শাহবাগমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সাধারণ যানবাহন ও পথচারীদের। টিএসসি, শাহবাগ মোড়, দোয়েল চত্বর এবং কবরস্থানের আশপাশে পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। কবরস্থান এলাকাকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন চলাচলের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জানাজা ও দাফনে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকায় আগাম এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা হা‌দির মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা এক সন্ত্রাসী। ৬ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়। আজ শনিবার দুপুরে সংসদ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শুরু করেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। প্রতিষ্ঠা করেন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

টিআই/এনএফ