চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় স্বামীর মারধরে ইয়াছমিন আকতার (২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, মরদেহের গলায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

নিহত ইয়াছমিন আকতার উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের মেয়ে। তিনি ৩ সন্তানের জননী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী নুর নবী পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ইয়াছমিনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. লোকমান অভিযোগ করেন, ইয়াছমিনের স্বামী নুর নবী বিগত তিন বছর ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। রোববার সকালে ইয়াছমিন তার মাকে ফোন করে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানিয়ে দীর্ঘক্ষণ কান্নাকাটি করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ইয়াছমিনের দেবর ফোন করে তার মাকে জানান, ইয়াছমিন আর বেঁচে নেই। পরে স্বজনরা নুর নবীর বাড়িতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। এসময় মরদেহের পাশে স্বামী নুর নবীর মা ছাড়া অন্য কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

নিহত ইয়াছমিন আকতারের মা নুর আয়েশা জানান, তারা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের গলায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এমআর/এসএসএইচ