দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হলো ই-গেট। বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ই-গেট উদ্বোধন করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশে আমরা শুধু আন্তর্জাতিক মানের ই-পাসপোর্ট সেবাই চালু করিনি, এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছু তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করার সক্ষমতা আমাদের থাকলেও করোনার কারণে ৮-৯ হাজার করে প্রিন্ট হচ্ছে।

গেট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মতো ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেন। ই-পাসপোর্ট সেবার অংশ হিসেবে গত বছরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায় প্রায় এক বছর। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন করেন।  

ই-গেটের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টধারীদের শনাক্ত করা হবে। ই-পাসপোর্টে থাকা মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা স্ক্যান করে ই-গেট পাসপোর্টধারী ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করবে। মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনায় আগে থেকে পাসপোর্টধারীর শনাক্তকরণের সব তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি) এবং জার্মানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ সংস্থা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ সংস্থাটির মাধ্যমেই ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 

ই-গেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) মো. খালিদ হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হলেন মনিরুল ইসলাম, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এআর/আরএইচ