লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আজ (শুক্রবার) রাজধানীর প্রধান সড়ক ছিল ফাঁকা। শাহবাগে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনীর একটি দল। শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে আধা ঘণ্টা স্থায়ী চেকপোস্টে নির্দেশনা অমান্যকারীদের শাস্তির দেওয়ার পরিবর্তে সচেতনতায় বেশি সক্রিয় দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে।

শাহবাগ মোড়ে তিন রাস্তার মুখে দাঁড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। চলাচলকারী প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে সেনা সদস্যরা। এ সময় মাস্ক না পরে চলাচল করছে এমন কয়েকজনকে পাওয়া যায়। বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের সামনে যেতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর এ দলটির দায়িত্বে ছিলেন মেজর হাসান চৌধুরী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশ পরিপালনে সেনাবাহিনী কাজ করছে। ব্যক্তির অসচেতনতার কারণে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আমরা তাই ব্যক্তি সচেতনতাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি কোনো কারণ ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন এবং সামাজিক দূরত্বসহ করোনার সংক্রমণরোধে যে পদক্ষেপগুলো রয়েছে সেগুলো যাতে মানা হয় সেদিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী। 

সেনাবাহিনীর সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণে সমন্বিত উদ্যোগে লকডাউন বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।

অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যরা জানান, মূল সড়কের তুলনায় অলি গলিতে সাধারণ মানুষের চলাচল বেশি। তবে গতবারের তুলনায় এবার মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা কম।

শাহবাগ মোড়ে দায়িত্বরত রমনা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক্স সার্জেন্ট জাফর ঢাকা পোস্টকে জানান, এবার লকডাউন বাস্তবায়নে স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে খুব কম মানুষই ঘর থেকে  কারণ ছাড়া বের হওয়ার কথা বলছেন। এরপরও যাদের কারণ যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে না এরকম চারজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে পাওয়া গেছে যিনি ঢাকা থেকে রাজবাড়ী উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে রওনা দিয়েছিলেন। তাকে শাহবাগে আটক করে গাড়িটি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে শাহবাগ মোড়ে সেনা টহল দল চলে যাওয়ার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল দল এসে অবস্থান নেয়। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চলাকালে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরার সময় শাহিন আলম নামে এক যুবককে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেইউ/ওএফ