চীনের সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে টিকার চালানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে টিকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের প্রথম চালানের ১০ লাখ এবং শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় আরেকটি বিশেষ ফ্লাইটে আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।

এর আগে, শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনের সিনোফার্ম থেকে ১০ লাখ টিকা ঢাকায় আসে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এলো। এ নিয়ে সিনোফার্ম থেকে মোট ২০ লাখ টিকা দেশে এলো।

গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ উপহারের টিকা বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায়। সব মিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। আর এই প্রথম চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা টিকা বাংলাদেশে এসেছে। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া মডার্নার তৈরি ২৫ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টা ২১ মিনিটে ও শনিবার (৩ জুন) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এ টিকা ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে এসব টিকা পাঠানো হয়েছে। 

এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের চারটি টিকা এলো। ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা এসেছে দেশে। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের মিলিয়ে মোট ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসছে।

এ সময় তিনি দেশে টিকার সংকটকালে একসঙ্গে এতগুলো টিকা আসার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা টিকার জন্যই অপেক্ষা করছি। ৪৫ লাখ ডোজ টিকা হাতে পেলেই আমরা আগের মতো টিকা কর্মসূচি শুরু করতে পারব। 

এনআই/এইচকে