যৌথভাবে দেশে টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা টিকার যৌথ উৎপাদনের জন্য চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছে আমরা দেশে টিকা উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তাব রেখেছি। এটা নিয়ে আলোচনা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।

টিকার যৌথ উৎপাদনে দেশের কোন ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ইনসেপ্টাসহ দুটি কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে। তবে আরেকটি কোম্পানির নাম আমি বলতে পারব না। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।

দেশে টিকার যৌথ উৎপাদন শুরু হলে টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, করোনাভাইরাসের টিকার যৌথ উৎপাদনে চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন লেখেন, চীনা কোম্পানি আর অ্যান্ড ডি সংস্থা ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে। চীন বহু উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন ও সমবায় উৎপাদন পরিচালনা করেছে এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনায় বিদেশি দেশগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমর্থন করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মে‌নের স‌ঙ্গে টে‌লি‌ফো‌নে আলাপ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই দিন ওয়াং ই জানান, বাংলাদেশে করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনে চীনা কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে।

এনআই/এসকেডি