নিহতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন স্বজনদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে খাদ্যপণ্যের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য মরদেহের হাড়, টিস্যু ও দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। পাশাপাশি স্বজনদের রক্ত ও সোয়াব (মুখের লালা) সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত (রাত ৮টা) ১০ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বয়সের উপর নির্ভর করে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কারো কাছ থেকে রক্ত ও সোয়াব নেওয়া হয়। এছাড়া মরদেহের উপর নির্ভর করে হাড়, টিস্যু ও দাঁতের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে

এর আগে শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তাফিজ মনিরের নেতৃত্বে এই নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে।

ঢামেক সূত্র জানায়, মরদেহ শনাক্ত করতে না পারায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষা করেই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যাদের সঙ্গে ডিএনএ মিলবে, তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরির (সেজান জুসের কারখানা) নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়ে স্বপ্না রানী (৪৫) ও মিনা আক্তার (৩৩) নামে দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে আরও ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসএএ/এআর/এসআই/এসকেডি/জেএস