শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, যদি শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শুক্রবার (৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুন লাগা কারখানাটি পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে শিশু শ্রমিক কাজ করেছে, এমন কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশু এখানে কাজ করেছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। আমাদের একটি টিম এখানে কাজ করছে, তারাও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। আমরা হাসপাতালে যাদের দেখে এসেছি, যারা চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেবো। আর যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকেও শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা আমরা করব।

কারখানাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, এ বিষয়টি আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। এছাড়া কারখানা পরিদর্শনে আমাদের যেসব পরিদর্শক টিম রয়েছে তাদেরও গাফিলতি ছিল কি না সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।

এদিকে শ্রমিকদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাটিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা অধিকাংশই শিশু-কিশোর। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। পরিবারের লোকজনই এমন দাবি করছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনে অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অধিকাংশ মরদেহই কারখানার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

কারখানার শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, কারখানাটি তিন শিফটে পরিচালিত হতো। সেখানে কাজ করেন দুই হাজারের বেশি শ্রমিক। কারখানাটিতে সেজান জুসের কর্ক ও লেভেল প্যাকেজিংয়ের কাজ করা হতো।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয় নিচতলায়। এর দুই ঘণ্টা পর ভবনটির ছাদ থেকে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

এএসএস/এমএসি/জেইউ/পিএসডি/এসকেডি/জেএস