নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার সময় ঢামেক হাসপাতালে আসেন তিনি। সেখানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সেখানে কাজ করছে। কারখানাটিতে বের হওয়ার রাস্তা কম ছিল। যদি জরুরি বের হওয়ার রাস্তা থাকত তাহলে এত শ্রমিক মারা যেত না। আর যারা আহত হয়েছেন তারা বেশিরভাগই কারখানা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।

কারখানাটিতে আগুন লাগার পরপরই কর্তৃপক্ষ তালাবদ্ধ করে দিয়েছিল এই অভিযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমরা তদন্ত করব। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করেছে। আমরাও একটি তদন্ত কমিটি করব। তদন্তে সার্বিক বিষয়গুলো দেখব। কারও গাফিলতি থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কারখানাটিতে অধিকাংশই শিশু শ্রমিক ছিল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি যদি হয়ে থাকে তাহলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে আমেনা (৩০) এবং ফাতেমা (২৮) ও ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে আছেন মাজেদা বেগম (২৮) নামে তিন নারী শ্রমিক। তারা ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেলে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতদের দেখতে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ঢাকা মেডিকেলে এসেছিলেন। আহতদের দেখে তিনি সবাইকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

এসএএ/জেডএস