ট্রেনের তেল ও ব্যাটারি চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে পাঁচজন রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ লিটার ডিজেল ও ট্রেনের ৩৯টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, ট্রেনের তেল ও ব্যাটারি চুরির সঙ্গে ট্রেনের পরিচালক, চালক, সহকারী চালক, ফ্ল্যাগম্যান, মেকানিক্যাল ফিটার ও খালাসি জড়িত।

জব্দ করা ৫০০ লিটার ডিজেল 

শনিবার (১০ জুলাই) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর মো. সালামত উল্লাহ। তিনি বলেন, গ্রেফতার সাতজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে আজ দুপুরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুরির সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছে।

আরএনবি সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ২ নং প্লাটফর্মে ট্রেন ( বিটি-১ স্পেশাল) থেকে তেল চুরির খবর  পেয়ে শুক্রবার (৯ জুলাই) গভীর রাতে অভিযান চালায় আরএনবি। এ সময় লোকোমোটিভ থেকে চুরির উদ্দেশ্যে বের করা প্রায় ৫০০ লিটার ডিজেল জব্দ করা হয়। এ সময় ফ্ল্যাগম্যান মো. শহীদ (৪৯), সহকারী ট্রেন চালক সুমন শীল (৩৫) (এএলএম), ট্রেন পরিচালক মো. আমজাদ হোসেনকে (৬৭) (চুক্তি ভিত্তিক গার্ড) গ্রেফতার করা হয়।

আরএনবি কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেফতার তিনজন লোকোমোটিভ থেকে ডিজেল চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করার কথা স্বীকার করছেন। এছাড়া ও তাদের সঙ্গে ট্রেনচালক কামরুজ্জামান পাটোয়ারীর (৪২) (এলএম) এবং ট্রেন পরিচালক নজরুল ইসলাম (গার্ড-১) জড়িত রয়েছেন।

৩৯টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়

ঘটনার পর থেকেই কামরুজ্জামান ও নজরুল পলাতক বলে জানিয়েছেন আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর মো. সালামত উল্লাহ।

অন্যদিকে, নগরের দেওয়াহাট এলাকায় রেলওয়ের ইলেকট্রিক গোডাউন থেকে ৩৯টি ব্যাটারি চুরির সময় রেলওয়ের দুই কর্মচারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আরএনবি। এ ঘটনায় রেলওয়ের মেকানিক্যাল ফিটার আনোয়ার হোসেন (৪০) ও রেলের খালাসি জাবেদ হোসেন (৩০), পিকআপ চালক মামুন (৩৫) ও হেলপার পারভেজকে  (৩০) গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালামত উল্লাহ।

কেএম/এসকেডি