কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রাজধানীতে কোরবানির হাট
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রাজধানীতে কোরবানির হাট বসতে শুরু করেছে। হাটের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অনুমোদিত দুটি হাটে। সিটি করপোরেশন থেকে ঈদের দিন সহ পাঁচ দিনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলেও হাট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে অন্তত ১২ দিন আগেই।
রাজধানীর লালবাগের রহমতগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইতিমধ্যেই গরু আসতে শুরু করেছে। রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে দুই ট্রাক গরু হাটে আনা হয়। কথা হয় গরু বিক্রেতা মোহাম্মদ ফজলুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, বিগত পাঁচ বছর যাবত তিনি এই হাটে গরু নিয়ে আসছেন। এবারও মেহেরপুর থেকে দুই ট্রাকে ৩৬টি গরু নিয়ে এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
ফজলুল হক বলেন, সকাল ৭টায় মেহেরপুর থেকে রওনা দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে রহমতগঞ্জ পৌঁছেছেন। মেহেরপুর থেকে আজ দুই ট্রাক আসলেও আগামীকাল (সোমবার) অন্তত পাঁচ ট্রাক গরু আসার কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মাঠে বিধিনিষেধ আছে? ওখানেও নেই।
রাজধানীর ভাটারা ও আফতাবনগর ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ভাটারা থানার পাশেই হাটের জন্য বিশাল তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তোরণ থেকে দুই কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। দুই কিলোমিটার ভেতরে মাঠে পশু বাঁধার জন্য বাঁশ পোঁতা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই মাঠে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠের বাইরে রাস্তার দুপাশে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী হাসিল কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। হাটের প্রস্তুতির কাজ চলছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানুষের জটলাও চোখে পড়ার মতো।
ভাটারা হাটের ইজারাদার মো. ইকবাল হোসেন খন্দকার বলেন, ১৫/১৬ তারিখ থেকে হাট শুরু হবে। কিন্তু তার আগে তো হাট সাজাতে হয়। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, ১৩/১৪ তারিখের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হবে।
তিনি জানান, হাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হবে। পাশাপাশি সিকিউরিটিজ কোম্পানির কাছ থেকে ৫০/৬০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা প্রবেশদ্বারে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করবেন, মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করাসহ স্বাস্থ্যবিধি পালনে কাজ করবেন।
ইকবাল হোসেন খন্দকার বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধির কথা বারবার বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির জন্য যা যা করণীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। হাটের ভেতরে হাত ধোয়ার জন্য বেসিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাজধানীর রামপুরায় আফতাবনগরের মূল ফটকের সামনেই নির্মাণ করা হয়েছে হাটের তোরণ। সেই তোরণ থেকে আড়াই কিলোমিটার ভেতরে বসছে আফতাবনগর কোরবানির হাট। সেখান গিয়ে দেখা যায়, ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বাঁশ পুঁতে পশু বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ী হাসিল কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে।
এইউএ/ওএফ