বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের বদলে যারা বিশ্বে শান্তি আনার চেষ্টা করছেন তাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণের বিবেচনা করছে সরকার।

সোমবার (১২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনটি চলতি বছরের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর করতে চায় সরকার। করোনা মরামারির প্রকোপ না থাকলে ভার্চুয়ালি না করে সশরীরে সম্মেলনটি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সম্মেলনে সত্যিকারভাবে বিশ্বে শান্তির জন্য কাজ করে বিশেষ করে শান্তিকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, গায়কসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় সরকার।

ড. মোমেন বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন নিয়ে জাতীয় কমিটির সভা আজ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা হবে প্রস্তুতি সভা। স্পিকার এর চেয়ারপারসন, সেখানে অনেক বোদ্ধাদের রাখা হয়েছে। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাতে চাই।’

মোমেন বলেন, ‘প্রায় দেশই তাদের জাতির জনকের নামে এ রকম সম্মেলন হয়, পুরস্কারও দেয়। যেমন ভারতে গান্ধী পুরস্কার দেওয়া হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় মাবিদা বা নেলসন ম্যান্ডেলার নামেও দেওয়া হয়।’

শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনায় রাখছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউনেস্কোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নামে ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে।’

এনআই/জেডএস