পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। 

বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে এমন ইঙ্গিত গতকালই পাওয়া গিয়েছিল। আর তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায় দূরপাল্লার বাস চালুর প্রস্তুতি। সকাল থেকেই দেখা যায় পরিবহন শ্রমিকদের সরব উপস্থিতি।  

বিধিনিষেধে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় এ খাতের শ্রমিকরা পড়েছিলেন বিপাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবিও জানিয়ে আসছিলেন তারা।  

গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিক রুবেল বলেন, সরকারের কঠোর লকডাউনে আমরা বিপদে পড়েছি। টানা লকডাউনে পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন পার করেছি। আমি নিজেও অনেক দিন না খেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ খোঁজ নেয়নি। আমরা কাজ করলে টাকা পাই আর সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাই। কিন্তু এতোদিন লকডাউনে আমাদের কেউ খোঁজ-খবর রাখেনি। প্রত্যেক পরিবহন মালিকই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে গাড়ি কিনেছে। পরিবহন মালিকরা নিজেরাই ঠিক মতো ঋণের টাকা দিতে পারে না। তাহলে আমাদের দেবে কিভাবে।

শাহ আলম নামে একজন বাসচালক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। করোনায় মরে গেলে যাবো, কিন্তু ক্ষুধার যন্ত্রণা আর সহ্য হয় না। খুব কষ্টে দিন পার করছি। পুরো পরিবার নিয়ে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের আয় বন্ধ ঠিকই, কিন্তু পরিবারের খরচ তো আর বন্ধ নেই।

গাবতলীতে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসগুলো পরিষ্কার করার কাজ চলছে। গাড়িগুলো ঠিকঠাক আছে কি না তা দেখে নিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এছাড়া অনেক গাড়ি মেরামতের কাজও করছেন মালিকরা।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। এর আওতায় বন্ধ করা হয় গণপরিবহ চলাচল।  

এসআর/এনএফ