রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের আহসানবাগ এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর চলে গেল মেয়ে আয়েশা (৫)। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৪৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কামরাঙ্গীরচরে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর মেয়ে আয়েশাও মারা গেছে। সকাল সাতটায় সে হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার আরেক বোন মায়েশা এখনো চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নিহত আয়েশার মামা মনজুর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোন, বোন জামাই ও ২ ভাগ্নি আমাদের বাসায়ই থাকে। আমার বোন জামাই অটোরিকশা চালায়। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এর আগে আমার বোন ও বোন জামাই মারা যায়। আজ আমার ভাগ্নিটাও মারা গেল। আরেক ভাগ্নি মায়েশা চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই গভীর রাতে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার সময় বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়। এরপর ৯ জুলাই রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে মা ইয়াসমিন আক্তার ও ১০ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটায় বাবা আব্দুল মতিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইয়াসমিন আক্তার ৯৫ শতাংশ ও আব্দুল মতিন ৯২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।

এসএএ/জেডএস