রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকায় ফারিয়া হায়দার (২১) নামে এক মেডিকেল কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।

নিহতের বাবা আলম হায়দার জানান, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। মেয়েকে মালয়েশিয়ায় একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছি। সে ওই মেডিকেলের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। করোনায় দেশে চলে এসেছে। তার কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেত। এর আগেও সে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাই আমরা ইচ্ছা করে দরজার লক নষ্ট করে রেখেছি, যাতে আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারি।

তিনি জানান, রাতে খেয়ে নিজের রুমে ঘুমিয়ে ছিল সে। সকালে দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এখানে (ঢামেক হাসপাতাল) আনার পর চিকিৎসক জানান, আমার মেয়ে আর নাই।

আলম হায়দার বলেন, আমরা গুলশান-১ এর নিকেতন ব্লক-বির ৪ নম্বর রোডে থাকি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা গুলশান থানাকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসেছে। বিষয়টি গুলশান থানা তদন্ত করে দেখছে।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সে আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। খুব রাগী ছিল। হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেত, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না। সে মালয়েশিয়ার একটি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে কোনো এক সময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার জানিয়েছে।

এসএএ/এসএসএইচ