প্রণোদনা প্যাকেজে হোটেল শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
প্রণোদনা প্যাকেজে হোটেল শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করে মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। একইসঙ্গে ঈদুল আজহা উপলক্ষে হোটেল শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ মজুরি, উৎসব ভাতাসহ প্রাপ্ত সব সুযোগ-সুবিধা ও বকেয়া মজুরি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফেডারেশনটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা এক দুর্বিষহ অবস্থায় পড়লেও শ্রমিকদের দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন-যাপন করোনার প্রাদুর্ভাব থেকেই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চলমান লকডাউনের কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে এ খাতের কর্মরত শ্রমিকরা। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হোটেল মালিকরা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। এমনকি মালিকরা বিগত ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতাও দেননি।
তারা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা দুর্যোগের বিশেষ পরিস্থিতিতে মালিকরা শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ায় বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা সবাই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক মজুরিসহ অন্যান্য সুবিধার অধিকারী হলেও মালিকরা তা দেননি। এতে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, গত বছরের ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীসহ সারাদেশের জেলা প্রশাসক ও শ্রম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে স্মারকলিপি দিলেও আজ পর্যন্ত শ্রমিকরা কোনো ধরনের সহযোগিতা বা নগদ অর্থ সহায়তা পায়নি। এবারো কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মারাত্মক মাত্রায় বৃদ্ধি পেলে সরকার প্রথমবারের মতো লকডাউন ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মালিক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও উৎসব ভাতা না দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভসহ শ্রম অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস