বিএনপির নেতারা আসলে কী চান সেটিই বোধগম্য নয়
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লকডাউন দিলেও বিএনপি সমালোচনা করে, শিথিল করলেও সমালোচনা করে। দলটির নেতারা আসলে কী চান সেটিই বোধগম্য নয়।
রোববার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্যায়ের সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ড. হাছান বলেন, ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, অনেক চিন্তাভাবনা করেই এটি করা হয়েছে। যখন দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলো, তখন দেখলাম বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লকডাউন কেন দেওয়া হলো, সেজন্য প্রচণ্ড সমালোচনা করলেন। আবার যখন এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করা হলো, তখন কেন শিথিল করা হলো, সেটির জন্য আবার সমালোচনা করলেন। আসলে ওনারা চানটা কী, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আসলে তারা চান দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক, তাহলে পানি ঘোলা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যাবে। কিন্তু সেই সুযোগ বিএনপিকে ভবিষ্যতে জনগণ আর দেবে না।
করোনাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য যে সহায়তার নজির স্থাপন করেছেন তা দেখে অন্যদেশ কিছু কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনো ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় কোথাও এমন দৃষ্টান্ত নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব মত ও পথের মানুষেরই সরকার। যেসব সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনায় মুখর থাকেন, তাদের জন্যও এই ট্রাস্টের সহায়তা উন্মুক্ত, কারণ রাষ্ট্র সবার জন্য।
বিজ্ঞাপন
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য যে সহায়তার উদাহরণ তৈরি করেছেন, তা সত্যিই বিরল।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে সরকার ও সাংবাদিকদের মধ্যে মমতার সেতুবন্ধ হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেন।
এদিন সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জনের হাতে চেক হস্তান্তর করেন অতিথিরা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪৯ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ২০১ জনকে ২ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
পিএসডি/জেডএস