আহসান হাবীব যাবেন কুড়িগ্রামের বাড়িতে। আর তাই সোমবার দিবাগত রাত ১১টায় আসেন রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে। গতকালের দুর্বিষহ যানজটের কবলে পড়ে তার বাস নির্ধারিত সময়ে আসতে পারেনি স্ট্যান্ডে। সেই বাস এসেছে ভোর পাঁচটায়। তারপর টার্মিনাল থেকে বাসটি আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর সাড়ে পাঁচটায় কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। 

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাল সন্ধ্যা সাতটায় বাসা থেকে বের হয়েছি। মহাখালী এসেছি রাত ১১টায়। তারপর জানলাম বাস জ্যামে আটকা পড়েছে, এখনও আসেনি। সেই বাসের অপেক্ষা করতে করতে ভোর পাঁচটা বেজে গেল। তারপর বাস এলো এবং রওনা হলাম। গত ৫ ঘণ্টায় এসেছি বাইপাইল পর্যন্ত। কষ্ট হলেও বাড়ি পৌঁছাতে হবে। ঈদযাত্রা মানেই ভোগান্তি, তবুও বাড়ি গেলে শান্তি লাগে। 

মেহেরপুর যাবেন দীপ্ত আহমেদ। তিনি সকাল সাতটায় বাসা থেকে বের হয়েছেন। সকাল আটটার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরে এসে জ্যামে পড়েন। সেখান থেকে গাবতলী পার হতে ৯টা বেজে যায়। মানে কল্যাণপুর থেকে গাবতলী আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা।

গতকাল সোমবার থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীসহ সারাদেশের রাস্তায়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দেওয়া তথ্যমতে, গত তিন দিনে ঢাকা ছেড়েছে ২৬ লাখ মানুষ। ঢাকা ছাড়তে অন্তত গতকাল প্রত্যেকটি মানুষকে প্রায় ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়েছে যানজটে। যারা দূরপাল্লার যাত্রী, তারা বাসস্ট্যান্ডে বসে অপেক্ষা করেছেন। আর যারা পার্শ্ববর্তী জেলার, তারা হেঁটেই রাজধানী ছেড়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর আমিনবাজার ব্রিজে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, শুধু আহসান হাবিব ও দীপ্ত আহমেদ নয়, হাজার হাজার মানুষ নাড়ির টানে রাজধানীর ছাড়ছেন। যানজটসহ রাস্তার নানা ভোগান্তির নিয়েই চলছে তাদের ঈদ যাত্রা।

এমএইচএন/এইচকে