জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের ১৪ বছর কাটিয়েছেন কারাগারে। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া ১৬টি ঈদ কেটেছে তার পরিবারের। জেলখানায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা পাওয়াটাই ছিল তার কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ আনন্দ। আর কারাগারের বাইরে থাকলে বঙ্গবন্ধু পরিবারে হতো ডাবল ঈদ। বাড়িতে রান্না হতো মণকে মণ সেমাই। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাভাবিক জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রে ঈদের স্মৃতিচারণায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঈদে আমরা জেলে গিয়ে আব্বার সঙ্গে এক ঘণ্টা দেখা করতে পারতাম, ওইটুকুই ছিল ঈদের আনন্দ। জীবনের অধিকাংশ সময়ই তো আব্বা জেলখানায় ছিলেন। যখন জেলখানার বাইরে থাকতেন তখন আমার মনে হয় মণকে মণ সেমাই রান্না করেও কুলাতে পারতেন না।’ 
 
ঈদের দিন বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হতে যাওয়া ওই প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। প্রামাণ্যচিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনে নিজের ঈদ আনন্দের স্মৃতিচারণ করেছেন তার ছোট কন্যা শেখ রেহানাও। 

প্রামাণ্যচিত্রটিতে নির্মাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারের ত্যাগের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।  

ঈদ আনন্দের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম আব্বা প্রায়ই থাকতেন জেলখানায়। আমাদের কাছে ঈদ ছিল তখন, যখন আব্বা জেলখানার বাইরে থাকতেন, মুক্ত থাকতেন। আব্বাও জেলখানার বাইরে, ঈদে এলো- এমন হলে তো কথাই নেই। আমাদের হতো ডাবল ঈদ।’
 
এইউএ/এসকেডি