ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। গরুর চামড়া সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেকেও কিনছেন না গফরগাঁওয়ের ব্যবসায়ীরা। ফলে এবারও পানির দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। 

বুধবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কোরবানির পশু জবাই শুরু হয়। দুপুর ১টার পর থেকে গরুর চামড়া কেনা শুরু করেন স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়া কিনেছেন ৫০০-৬০০ টাকায়। আর লাখ টাকার গরুর চামড়া কিনেছেন ৭০০ টাকায়। 

গফরগাঁওয়ের টাংগাব গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী জহরলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, চামড়ার বাজার ভালো না। তাই এবার বেশি চামড়া কিনছি না। এবার তিন থেকে চার লাখ টাকার চামড়া কিনব। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার চামড়া কিনেছি। সন্ধ্যার মধ্যে বাকি চামড়া কিনে ফেলব।

তিনি বলেন, কোরবানির গরুর চামড়া বর্গফুট হিসাবে নয়, সাইজ দেখে অনুমানের ওপর কিনছি। লাখ টাকার গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা, ৭০-৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়া ৬০০ টাকায় কিনেছি। ৫০-৬০ হাজার টাকার গরুর চামড়া কিনেছি ৪৫০-৫০০ টাকায়।

চামড়া ব্যবসায়ী জহরলাল বলেন, গতবার চামড়া কিনে ধরা খেয়েছি। এবার আর ধরা খেতে চাই না। 

ভরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর চামড়ার দামই বলছে না স্থানীয় ক্রেতারা। ৮০ হাজার টাকা দামের গরু কোরবানি দিয়েছি। সরকারি রেটে চামড়ার দাম ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু দাম বলে সাড়ে ৫শ টাকা। তাই দিচ্ছি না। সন্ধ্যার পর বাজারে নিয়ে যাব, দেখি একটু বেশি দামে বিক্রি করতে পারি কি না। কোরবানির পশুর চামড়া গরিবের হক। চামড়া বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে গরিবরাই পাবে।

মনিরুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ছাগলের চামড়া কেউ কিনছে না বললেই চলে। বিক্রি হলেও ২৫-৩০ টাকার বেশি দাম দিচ্ছে না। 

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৫ থেকে ১৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২০ সালে ঢাকাতে গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে গরুর চামড়ার দাম। ২০২০ সালে খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। 

এমআই/এইচকে