বিধিনিষেধের বাইরে খাদ্যপণ্যের মিল-কারখানা, পশুর চামড়া
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা ও কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। এর আগে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
কঠোর হবে এবারের বিধিনিষেধ : ফরহাদ হোসেন
বিজ্ঞাপন
পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ। এর আগে ১৩ জুলাই দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবারের বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বন্ধ থাকবে বাস-ট্রেন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ চলাকালীন সড়ক, নৌ ও রেলপথে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে জানানো হয়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের ছুটির পর সরকার আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। অর্থাৎ ২৩ তারিখ (জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকবে। তবে কন্টেইনার, খাদ্য, পণ্যবাহী ও বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলাচল করবে।
এদিকে, গত ১৪ জুলাই বিআরটিএ’র পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল করবে না। তবে, আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন-সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ড ভ্যান এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
বিদেশফেরত-গামীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট ওঠা-নামার অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক জানায়, এখন থেকে এয়ারলাইন্সগুলো চাইলেই তাদের শিডিউল অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। তবে শুধু বিদেশ থেকে আসা এবং বিদেশগামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীরা অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে চলাচল করতে পারবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে শুধু বিদেশি যাত্রীদের বহন করতে পারবে।
বিদেশ থেকে এসেছেন কি না বা বিদেশে যাবেন কি না, সেটি নিশ্চিতে যাত্রীকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট দেখাতে হবে। সেটি দেখেই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বোর্ডিং পাস নিতে হবে। সরকার-নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।
এমএইচএস