করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধের প্রথম দিনে রাজধানীর রাজপথে সরব রয়েছে পুলিশ। ফাঁকা দেখা গেছে রাজধানীর রাস্তা। সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহনের চলাচল। সেই সঙ্গে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া প্রায় সব ধরনের দোকান বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবারে (২৩ জুলাই) গুলশান, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগ, বাড্ডা, প্রগতি সরণি, নতুন বাজার, বনানীসহ আরও বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের পাশের সব দোকান বন্ধ রাখা হলেও একটি ইলেকট্রনিক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দোকানটির মালিক আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম বিধিনিষেধে যানবাহন বন্ধ থাকলেও দোকান খোলা রাখা যাবে। কিন্তু এসে দেখি সব দোকান বন্ধ, কেউ দোকান খোলেনি। তাই আমিও দোকান খুলতে পারছি না। যতদূর চোখ যাচ্ছে রাস্তার দুপাশে সব দোকানই বন্ধ রয়েছে।

মহাখালী-আমতলী সংলগ্ন রাস্তার পাশে দোকান বন্ধ থাকার বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মী জাহিদুর রহমান বলেন, লকডাউনের কারণে এখানকার সব দোকান বন্ধ। ঈদের কারণে মানুষের উপস্থিতি এমনিতেই কম। তার ওপর লকডাউন। তাই সব দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ রেখেছে। আরও কয়েকদিন এসব বন্ধ থাকবে। তবে অলিগলির মধ্যে কাঁচা বাজার, নিত্যপণ্যর দোকান খোলা আছে।

মধ্য বাড্ডা সংলগ্ন এলাকার দোকানি সজিব আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত আমাদের সব দোকান খোলা ছিল। কর্মচারীসহ আমরা ক্লান্ত। তাই ছুটি পালন করার জন্য দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া আজ শুক্রবার হওয়ায় বাইরে মানুষের উপস্থিতি এমনিতেই খুবই কম। তারমধ্যে আজ থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। সে কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দুই-একদিন গেলে বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোনদিকে যায়।

এএসএস/এইচকে