ছবি : সুমন শেখ

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীতে গত রাতে ও আজ সকালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। একই কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪১ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরের দিকে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সারাদিনই আকাশ মেঘলা রয়েছে। রাজধানীতে গত রাতে ও আজ সকালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে। আগামী তিনদিনে আবহাওয়ার পরিস্থিতি সামান্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহবৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের কোথাও কোথাও মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এর বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও উত্তর পূর্ব দিকে বংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। 

একে/আরএইচ