কার্ড দেখাতে না পারায় ওষুধ দোকানের কর্মচারীকে জরিমানা
করোনাভাইরাস রোধে সরকারের পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের আজ দ্বিতীয় দিন। বিধিনিষেধ নিশ্চিতে রাজধানী বিভিন্ন প্রবেশমুখে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি। চেকপোস্টগুলোতে সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
শনিবার (২৪ জুলাই) বাবুবাজার ব্রিজের মুখে বিধিনিষেধের দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, বিজিবি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই পথে মিডফোর্ড যাচ্ছিলেন ওষুধ দোকানের কর্মচারী বাদশা। দোকানের কর্মচারীর কার্ড দেখাতে না পারায় তাকে গুনতে হয়েছে ৫০০ টাকা জরিমানা।
বিজ্ঞাপন
বাদশা বলেন, ‘আমি বাসা থেকে মিটফোর্ডের দোকানে যাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত আমার কাছে কার্ড দেখতে চাইলে দেখাতে পারিনি। তাই ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেলে রাজধানীতে প্রবেশ করছিলেন শরিফুল ইসলাম। চেকপোস্টে তাকে দাঁড় করানো হয়। শরিফুলে বলেন, ‘বারডেম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি।’ এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে যেতে দেয়।
রাজধানীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাবুবাজার ব্রিজের মুখে পুলিশ, বিজিবি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকপোস্টে প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহনকে কারণ জানাতে হচ্ছে। সঠিক কারণ না জানাতে পারলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০০ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা করছেন। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কারণ দর্শাতে না পারায় ২১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা পারভীন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এবারের বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে বলে আগেই জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আর কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
টিএইচ/এমএইচএস