বঙ্গোপসাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় গভীর সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেননি চট্টগ্রামের বেশিরভাগ জেলে। এর মধ্যেও শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে যারা ছোট ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তারা প্রচুর ইলিশ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। 

সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর চট্টগ্রাম মাঝিরঘাট, ফিশারিঘাট, কাট্টলী, সীতাকুণ্ড, পতেঙ্গা, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ ও বাঁশখালী উপকূলে প্রায় ৫০ হাজার জেলে জাল ও ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সাগরে সর্তক সংকেত থাকার কারণে অধিকাংশ জেলে মাছ ধরতে যেতে পারেননি।

শনিবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় চট্টগ্রামে নিবন্ধিত ও নিবন্ধন ছাড়া প্রায় ৫০ হাজার জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অধিকাংশ জেলেই তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে সাগরে যেতে পারেননি। বিশেষ করে যারা ট্রলারে করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা যেতে পারেননি। তবে যারা তীরের কাছ থেকে ইলিশ ধরেন তাদের মধ্যে কিছু জেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সে সংখ্যা খুবই কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ছোট বোট নিয়ে সাগরে গিয়েছিলেন তারা ভালো ইলিশ পেয়েছেন। তবে আকারের দিক থেকে ইলিশগুলো ছোট। জেলেরা আশাবাদী এবছর বড় ও বেশি পরিমাণে ইলিশ পাবেন।’

ফিরিঙ্গিবাজারের ফিশিং ট্রলারের মাঝি মো. আলম বলেন, অনেকদিন বন্ধ থাকায় সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারিনি। জাল ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় যেতে পারিনি। আবহাওয়া ভালো হলে সাগরে যাব। আশা করি এবছর ভালো মাছ পাব।

এদিকে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। 

চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুই দিনও চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে এ আবহাওয়াবিাদ।

কেএম/জেডএস