রাজধানীর বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের বিস্তারিত তথ্য, ছবি ও ঠিকানা ভাড়াটিয়া তথ্য ফরমে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গত ২৩ জুলাই কাজের নামে বাসা থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ পালিয়ে যায় তিনদিন আগে যোগদান করা গৃহকর্মী নূপুর আক্তার। ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় নূপুরকে গ্রেফতারের পর এ আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে গত ১৯ জুলাই ১০ হাজার টাকা বেতনে নূপুর নামে ওই গৃহকর্মী ভুক্তভোগীর বাসায় কাজে যোগ দেয়।

ঈদের দুদিন পরই ২৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই গৃহকর্মী বাসা থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। ওই ঘটনায় গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গৃহকর্মী নূপুরকে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বাউরতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার নূপুর আক্তারের হেফাজত থেকে মামলার বাদীর চুরি যাওয়া ১টি স্বর্ণের চুড়ি, ১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি স্বর্ণের আংটি (মোট ওজন সাড়ে ৩ ভরি) ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার (পিবি দক্ষিণ) মাহবুব আলম বলেন, এই ধরনের চুরি ডাকাতির ঘটনায় আমাদের আসামিদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে বেগ পেতে হয়। কারণ ডিএমপির তথ্য ভাণ্ডারে বা ভাড়াটিয়া তথ্য ভাণ্ডারে এধরনের গৃহকর্মীদের তথ্য সংযুক্ত থাকে না। তবে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গৃহকর্মী নূপুরকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হই। 

ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কাজের বুয়ার সন্ধান ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এক্ষেত্রে কী পরিমাণ চুরি বা ডাকাতির তথ্য ডিএমপি পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী বা দারোয়ান নিয়োগ দিলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে জানান, ভাড়াটিয়া তথ্য ভাণ্ডারে তাদের ছবি, পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত করুন। তাহলে যেকোনো অপরাধে তাদের দ্রুত আটক করা সম্ভব। এঘটনায় জড়িত নূপুর আরও দুটি চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। জড়িত মূল ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে পুরো চক্র সম্পর্কে জানা যাবে।

জেইউ/জেডএস